সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। Sonali Bank Student Account

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম- আলাইকুম প্রিয় পাঠক বৃন্দ আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনি কি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমি শেয়ার করব সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম। আশা করি সবাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ব্যাংক শিক্ষার্থীদের জন্য একাউন্ট সুবিধা প্রদান করছে। তারা ছাত্রদের একাউন্টের জন্য কমবেশি সুবিধা প্রদান করে থাকে। শিক্ষার্থীরা কিভাবে এই একাউন্ট থেকে আরও সুবিধা পেতে পারে সেদিকে তারা মনোযোগ দিচ্ছে। আজকে আমরা আলোচনা করব সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট

আজ আমি আপনাদের সাথে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক সোনালী ব্যাংক অব বাংলাদেশের স্টুডেন্ট একাউন্ট  নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।  তো চলুন শুরু করা যাক।

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে ব্যাংকিং সুবিধা দিচ্ছে সোনালী ব্যাংক। সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে।

  1. সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট।

  2. সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট হল সেই সকল স্টুডেন্ট এর জন্য যাদের বয়স কম অর্থাৎ 6 থেকে 18 বছরের মধ্যে। সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার জন্য একজন স্টুডেন্ট এর আইনি অভিভাবকের প্রয়োজন হবে। কারণ তিনি প্রাপ্তবয়স্ক নন, তাই একাউন্ট পরিচালনা করার জন্য একজন অভিভাবকের প্রয়োজন হবে।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট সুবিধা

1. সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট ব্যাংকিং এর বিপরীতে, সোনালী ব্যাংক সাধারণত 6% মুনাফা অফার করে থাকে।
2. এই একাউন্টের জন্য কোনও একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ নেই।
3. যদি একজন স্টুডেন্ট এই একাউন্টটি করে তবে সে একটি ডেবিট কার্ড পাবে।
4. ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনি 5 হাজার টাকা পর্যন্ত তুলতে পারবেন।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

1. শিক্ষার্থী যে স্কুলে পড়াশোনা করছে তার স্কুল আইডি কার্ডের ফটোকপি।
2. শিক্ষার্থী যে স্কুলে পড়াশোনা করছে তার প্রিন্সিপালের কাছ থেকে সার্টিফিকেট।
3. শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের ফটোকপি।
4. শিক্ষার্থীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
5. এক কপি ছবি এবং অভিভাবকের NID কার্ডের ফটোকপি।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট 18 বা তার বেশি ছাত্রদের জন্য। সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট খুলতে কোন অভিভাবকের প্রয়োজন নেই। একজন শিক্ষার্থী নিজেই একটি একাউন্ট খুলতে পারবে।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট সুবিধা

1. যদি একজন শিক্ষার্থীর এই একাউন্ট থাকে তাহলে কোনো একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জের প্রয়োজন হবে না।
2. এই একাউন্টটি করার মাধ্যমে, আপনি চেক বই পাবেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে কোনো ধরনের চার্জ দিতে হবে না। আপনি যদি MICR চেক বই নেন তাহলে আপনাকে 10 পৃষ্ঠার MICR চেকের জন্য 40 টাকা চার্জ দিতে হবে।
3. এই একাউন্ট থাকলে একজন স্টুডেন্ট একটি ডেবিট কার্ড পাবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে 230 টাকা বার্ষিক চার্জ দিতে হবে। এই ডেবিট কার্ড দিয়ে আপনি বাংলাদেশের যেকোনো এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।
4. এই একাউন্টের জন্য বার্ষিক এসএমএস সতর্কতা চার্জ প্রয়োজন৷ এই টাকার পরিমাণ মাত্র ১১৬ টাকা।
5. এই একাউন্টটি করার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা পাবেন৷
6. একজন শিক্ষার্থী সোনালী ব্যাংকের ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে যেকোনো ব্যাংকে ব্যালেন্স ট্রান্সফার,  মোবাইল রিচার্জ সহ অন্যান্য সকল সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্ট খুলতে কি কি প্রয়োজন?

1. একাউন্ট খোলার জন্য দুইশত টাকা।
2. স্টুডেন্ট আইডির ফটোকপি।
3. এন আইডি বা জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি।
4. 2 কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
5. নমেনি এর এক কপি ছবি এবং NID এর ফটোকপি।

সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
  
শিক্ষার্থীদের উপরে উল্লিখিত সকল কাগজপত্র নিয়ে তাদের নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় যেতে হবে।  আপনি সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট ব্যাংকিং একাউন্টের জন্য 100 টাকা এবং সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট সেভিংস একাউন্টের জন্য 200 টাকা জমা দিয়ে এই একাউন্ট খুলতে হবে।

আপনার নিকটস্থ সোনালী ব্যাংক শাখায় যাওয়ার পর, একাউন্ট খোলার বিষয়ে সেখানকার অফিসারকে জিজ্ঞাসা করুন। তিনি আপনাকে স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে সহায়তা করবেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

শেষ কথা 
উপরে সোনালী ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। কারো বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url