একটি পিচ্ছি মেয়ে
লেখাঃ এম. রাসেল নীল
সেদিন দারিয়ে আছি মুক্তাগাছা শহরে বাসস্টপে, বাসের অপেক্ষায় ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে, হাতে একটা জলন্ত সিগারেট।
হঠাৎ পিছন থেকে, কে যেন ডাকছে ভাইয়া অ ভাইয়া বিশটা টেহা দিবেন,?
পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি, আনুমানিক ৯-১০ বছরের একটা মেয়ে, চুলগুলো উশখু-খুশকু, গায়ের রঙটা কালো বর্ণের।
আমি বললাম, আমার কাছেতো ভাংতি কোন টাকা নেই, তো টাকা দিয়ে কি করবি?
ভাইয়া এখন দুপুর হয়ে গেছে কিন্তু কিছুই খাইতে পারিনাই কয়েকজনের কাছে টেহা চাইলাম সবাই কয় ভাংতি নাই।।
(একটানাভাবে কথাগুলো বলে মেয়েটা চলার পথে।)
সিগারেটটা এতক্ষণে হাতেই শেষ হয়ে গেছে,,
সিগারেটের শেষ অংশটা ফেলে দিয়ে, আমি পিছন থেকে, কি নাম তোর??
পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখি, আনুমানিক ৯-১০ বছরের একটা মেয়ে, চুলগুলো উশখু-খুশকু, গায়ের রঙটা কালো বর্ণের।
আমি বললাম, আমার কাছেতো ভাংতি কোন টাকা নেই, তো টাকা দিয়ে কি করবি?
ভাইয়া এখন দুপুর হয়ে গেছে কিন্তু কিছুই খাইতে পারিনাই কয়েকজনের কাছে টেহা চাইলাম সবাই কয় ভাংতি নাই।।
(একটানাভাবে কথাগুলো বলে মেয়েটা চলার পথে।)
সিগারেটটা এতক্ষণে হাতেই শেষ হয়ে গেছে,,
সিগারেটের শেষ অংশটা ফেলে দিয়ে, আমি পিছন থেকে, কি নাম তোর??
- কার? আমার নাম?
- হুম!
- লিমা আক্তার।
- তোর নামটাতো অনেক সুন্দর। তো তুই থাকিস কোথায়?
- অইযে সামনের যে সিনামা হলডা আছে অইডার পিছে(পেছনে) বস্তিতে।
কথাগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম।।
ভাইয়া আমি যাই!
- হুম!
- লিমা আক্তার।
- তোর নামটাতো অনেক সুন্দর। তো তুই থাকিস কোথায়?
- অইযে সামনের যে সিনামা হলডা আছে অইডার পিছে(পেছনে) বস্তিতে।
কথাগুলো গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম।।
ভাইয়া আমি যাই!
এই দাড়া, চল আমার সাথে।
কই যামু ভাইয়া?
আরে চল.....
সামনের গলিতে একটা হোটেলে নিয়ে গেলাম মেয়েটাকে।
- কি খাবি?
(এতোক্ষনে মেয়েটির মুখের কোনে একটু আনন্দের আবাস দেখা গেল।।)
- ভাত, আলো ভর্তা আর ডাইল।
- আর কিছু না?
- না, আপনার টেহা বেশি লাগবো।
- সমস্যা নাই তোর যা ইচ্ছা তাই খেয়ে নে।।
- তাইলে মুরগির গুস্ত।
কই যামু ভাইয়া?
আরে চল.....
সামনের গলিতে একটা হোটেলে নিয়ে গেলাম মেয়েটাকে।
- কি খাবি?
(এতোক্ষনে মেয়েটির মুখের কোনে একটু আনন্দের আবাস দেখা গেল।।)
- ভাত, আলো ভর্তা আর ডাইল।
- আর কিছু না?
- না, আপনার টেহা বেশি লাগবো।
- সমস্যা নাই তোর যা ইচ্ছা তাই খেয়ে নে।।
- তাইলে মুরগির গুস্ত।
সবকিছু তার সামনে আসার সাথেই সাথেই খাওয়া শুরু করে দিল। বুঝলাম অনেক ক্ষুধার্ত।
তাই আর কিছু বললাম না।।
খাওয়া শেষে...
তোর বাবা মা কি করেরে?
- আব্বায় রিকশা চালাইতো, কয়েকদিন ধরে অনেক অসুস্থ। আর মায়ে ছোডবেলা মইরা গেছে।।
- তোর বাবার কি অসুখ হয়েছে?
- যানিনা, আব্বা মাঝে মাঝে আমারে কইতো আমার নাকি বিয়া দিব রাজপুত্রের মত পোলার কাছে। কিন্তু ভাইয়া, আব্বা যদি মইরা যায় তাইলে আমারে বিয়া দিব ক্যারা।।
(কথাগুলো শুনেচোখের কোণে একটু পানি এসে গেছে।।)
- তোর বাবা, মারা যাবে কেনরে,,, আল্লাহতায়ালা তোর বাবাকে অবশ্যই সুস্থ করে দিবে।।
(হাতের ঘরিটার দিকে তাকিয়ে দেখি এতক্ষনে আমার বাসের সময় হয়ে গেছে)
তাই আর কিছু বললাম না।।
খাওয়া শেষে...
তোর বাবা মা কি করেরে?
- আব্বায় রিকশা চালাইতো, কয়েকদিন ধরে অনেক অসুস্থ। আর মায়ে ছোডবেলা মইরা গেছে।।
- তোর বাবার কি অসুখ হয়েছে?
- যানিনা, আব্বা মাঝে মাঝে আমারে কইতো আমার নাকি বিয়া দিব রাজপুত্রের মত পোলার কাছে। কিন্তু ভাইয়া, আব্বা যদি মইরা যায় তাইলে আমারে বিয়া দিব ক্যারা।।
(কথাগুলো শুনেচোখের কোণে একটু পানি এসে গেছে।।)
- তোর বাবা, মারা যাবে কেনরে,,, আল্লাহতায়ালা তোর বাবাকে অবশ্যই সুস্থ করে দিবে।।
(হাতের ঘরিটার দিকে তাকিয়ে দেখি এতক্ষনে আমার বাসের সময় হয়ে গেছে)
পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করে দেখলাম ২৫০০-২৬০০ টাকা আছে,,সেখান থেকে মেয়েটির হাতে ১০০০ টাকা দিয়ে বললাম,
তোর বাবাকে নিয়ে দিস আর বলিস একভাইয়া দিয়েছে তোমারে ঔষধ খাওয়ার জন্য।।
মেয়েটি শুধু বলেছিল ভাইয়া এত টেহা দেখলে আব্বা আমারে অনেক বকা দিবে!
আমিও বলেছিলাম টাকাগুলি না নিলে আমিও একটা থাপ্পর দিব।।
তোর বাবাকে নিয়ে দিস আর বলিস একভাইয়া দিয়েছে তোমারে ঔষধ খাওয়ার জন্য।।
মেয়েটি শুধু বলেছিল ভাইয়া এত টেহা দেখলে আব্বা আমারে অনেক বকা দিবে!
আমিও বলেছিলাম টাকাগুলি না নিলে আমিও একটা থাপ্পর দিব।।
আপ্নারমত ভাল মানুষ দুনিয়াতে মনে হয় নাই,
আইচ্ছা ভাইয়া ভাল থাইকেন।।
আইচ্ছা ভাইয়া ভাল থাইকেন।।
ওকে তুইও ভাল থাকিস বাই।।।