বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩ | Boi Pora Golper Srijonshil Question
বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩ - আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আপনি কি বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকে আমি শেয়ার করব বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩। আশা করি যারা এসএসসি পরীক্ষা দিবেন তাদের উপকারে আসবে।
বই পড়া প্রবন্ধে প্রগতিশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রে বই পড়ার উপযোগিতা, আবশ্যকতা, পাঠকের মানসিকতা ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা লেখক সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। তো চলুন শুরু করা যাক।
বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর ২০২৩
✅ সৃজনশীল ০১: রাজন পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। স্কুলে অবসর সময়ে বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা না করে সে লাইব্রেরিতে বসে বই পড়ে। এ নিয়ে রাজনের বন্ধুরা প্রায়ই তাকে বিদ্যার জাহাজ বলে কটাক্ষ করে। তার বন্ধুদের মতে ভালো ফলাফল করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে পাঠ্যবইয়ের কোনো বিকল্প নেই।
ক. সাহিত্যচর্চার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার অর্থ কী?
খ. আমরা জাত হিসেবে শৌখিন নই কেন? বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে রাজনের বন্ধুদের মনোভাবে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সাদৃশ্যগত দিকটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রাজন যেন ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশিত ব্যক্তি— মূল্যায়ন কর।
✅সৃজনশীল ০২: হিমেল ও তুষার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। হিমেল মনে করে পাস করার জন্য শুধু পাঠ্যবই ভালো করে পড়লেই যথেষ্ট। কিন্তু তুষার মনে করে ভালো ফলাফল অর্জন করতে হলে পাঠ্য-পুস্তক ছাড়াও অন্যান্য বই পড়া প্রয়োজন। তুষার নির্ধারিত পাঠ্যবইয়ের মধ্যে না থেকে লাইব্রেরিতে গিয়েও বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে।
ক. যথার্থ শিক্ষিত হতে হলে কী দরকার?
খ. ‘দেহের মৃত্যুর রেজিস্টারি রাখা হয়, আত্মার হয় না।’- বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের হিমেলের মানসিকতায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের তুষারের মানসিকতায় ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের অভিমত প্রতিফলিত হয়েছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
✅সৃজনশীল ০৩: রাকিব স্যার ক্লাসে পাঠদান করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে উৎসাহিত করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল, বিজ্ঞানমনস্ক, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়ার এবং আবৃত্তি ও বিতর্কসহ বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের তাগিদ দেন। তাঁর উৎসাহে নবম শ্রেণির ছাত্রী ফাতিমা এ বছর ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্ৰ’ আয়োজিত বই পড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
ক. ‘কেতাবি’ অর্থ কী?
খ. সাহিত্য সাক্ষাৎভাবে উদরপূর্তির কাজে লাগে না কেন?
গ. উদ্দীপকের ফাতিমাকে কোন ধরনের শিক্ষিত বলা যায়? ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের রাকিব স্যার যেন ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে উল্লিখিত যথার্থ গুরুর সার্থক প্রতিনিধি”— বিশ্লেষণ কর।
✅সৃজনশীল ০৪: দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরশি সাহিত্য পড়তেই বেশি আগ্রহী। মামার সাথে একুশের বইমেলায় গিয়ে সে বাংলা সাহিত্যের বইগুলোই কেনে। তার এই সাহিত্যপ্রীতিকে আরও শানিত করার জন্য তার মামা তাকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ পাঠাগারে ভর্তি করে দেন। তিনি সাহিত্য পড়ার ব্যাপারে আরশিকে অনুপ্রাণিত করে বলেন, জ্ঞান-রাজ্যের এক সমৃদ্ধ অঙ্গ হলো সাহিত্য। সাহিত্য ছাড়া কোনো জাতিই বিকশিত হতে পারে না। তবে এর জন্য প্রয়োজন সাহিত্যের বাতিঘর প্রতিষ্ঠা করা।
ক. ‘কেতাবি’ শব্দের অর্থ কী?
খ. ‘বই পড়া’ প্রবন্ধে লেখক লাইব্রেরিকে স্কুল-কলেজের উপরে স্থান দিয়েছেন কেন?
গ. উদ্দীপকের আরশির মামার মধ্যে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের কোন অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের মামার অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যটিতে ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মনোভাবের প্রতিফলন ঘটেছে।”- মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
✅সৃজনশীল ০৫: সাইমন তারিক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার প্রতি তাঁর রয়েছে প্রবল অনুরাগ। এজন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি নিজ বাড়িতে একটি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করেন। আশেপাশের মানুষের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন। এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সমাজে অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি তার গ্রন্থাগারে অনুদানস্বরূপ বিভিন্ন ধরনের বই দিয়েছেন। কিন্তু তাঁরই এক স্বর্জন বাদল এহেন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে বলেন, “শুধু শুধু বই কিনে অর্থ অপচয় করার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই, বরং স্কুল-কলেজের নির্ধারিত পাঠ্যবই পড়লেই আলোকিত সমাজ গড়া সম্ভব।”
ক. মনের দাবি রক্ষা না করলে কী বাঁচে না?
খ. সাহিত্যচর্চাকে শিক্ষার সর্বপ্রধান অঙ্গ বলা হয়েছে কেন?
গ. উদ্দীপকের বাদলের মনোভাব ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের কোন দিকটির ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের সাইমন তারিকের প্রচেষ্টাই ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের মূল সুর”— মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
✅সৃজনশীল প্রশ্ন ০৬ : জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা- যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারা নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরামর্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক, অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না।
ক. ‘ভাঁড়েও ভবানী’ অর্থ কী?
খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের যে দিকটির ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে ।”- মন্তব্যটি বিচার কর।
✅সৃজনশীল প্রশ্ন ০৭ : বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার সহিত আনন্দ নাই। কেবল যাহা নিতান্ত আবশ্যক, তাহাই কণ্ঠস্থ করিতেছি। তেমনি কোনোমতে কাজ চলে মাত্র, কিন্তু মনের বিকাশ লাভ হয় না। হাওয়া খাইলে পেট ভরে না, আহার করিলে পেট ভরে, কিন্তু আহারাদি রীতিমত হজম করিবার জন্য হাওয়া আবশ্যক।
ক. “বই পড়া” প্রবন্ধটি প্রমথ চৌধুরীর কোন গ্রন্থ থেকে সংকলন করা হয়েছে?
খ. “সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত ৷” _কেন? বুঝিয়ে বলো।
গ. উদ্দীপকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের সঙ্গে কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্যপূর্ণ? -আলোচনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের সমঘ ভাব নয়, খণ্ডাংশকে ধারণ করেছে মাত্র ।” -বিশ্লেষণ করো।
✅সৃজনশীল প্রশ্ন ০৮ : জাতীয় জীবনধারা গঙ্গা-যমুনার মতোই দুই ধারায় প্রবাহিত। এক ধারার নাম আত্মরক্ষা বা স্বার্থপ্রসার, আরেক ধারার নাম আত্মপ্রকাশ বা পরমার্থ বৃদ্ধি। একদিকে যুদ্ধবিগ্রহ, মামলা-ফ্যাসাদ প্রভৃতি কদর্য দিক; অপরদিকে সাহিত্য, শিল্প, ধর্ম প্রভৃতি কল্যাণপ্রদ দিক। একদিকে শুধু কাজের জন্য কাজ। অপরদিকে আনন্দের জন্য কাজ। একদিকে সংগ্রহ, আরেক দিকে সৃষ্টি। যে জাতি দ্বিতীয় দিকটির প্রতি উদাসীন থেকে শুধু প্রথম দিকটির সাধনা করে, সে জাতি কখনও উঁচু জীবনের অধিকারী হতে পারে না।
ক. ভীড় ও ভবানী” অর্থ কী?
খ. অন্তর্নিহিত শক্তি বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রথম দিকটি “বই পড়া” প্রবন্ধের যে দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে পরমার্থ বৃদ্ধির প্রতি যে গুরত্তব দেয়া হয়েছে তা “বই পড়া” প্রবন্ধের লেখকের মতকে সমর্থন করে – মন্তব্যটির বিচার কর।
✅সৃজনশীল প্রশ্ন ০৯ : মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাধিয়া রাখিত তবে সে ঘৃমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরীর তুলনা হইত এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্রার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাধা পড়িয়াছে।
ক. প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সাময়িকপত্রের নাম কী?
খ. “এ আশা সম্ভবত দুরাশা ।’ – কেন?
গ. উদ্দীপকে “বই পড়া” প্রবন্ধের যে দিকটি প্রকাশিত হয়েছে তা বর্ণনা করো।
ঘ. “উদ্দীপকের বিষয়বস্ত “বই পড়া” প্রবন্ধের সমগ্র ভাবকে ধারণ করে না।” মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
✅সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : তামিমকে মা পাঠ্যপুস্তকের বাইরে সাহিত্যের কিছু বই পড়ার পরামর্শ দেন। তামিমের বই পড়ার ইচ্ছা থাকলেও বই পাবে কোথায়। মা তাকে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরিতে যোগাযোগ করতে বলে। সেখানে সাহিত্যের নানারকম বই আছে। যা তামিম পছন্দমতো বাছাই করে নিয়ে পড়তে পারবে। এতে তামিম অনেক আনন্দ পাবে। ফলে তার সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
ক. প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম কী?
খ. গণতন্ত্র বলতে কী বোঝায়?
গ. প্রমথ চৌধুরীর ‘বই পড়া’ প্রবন্ধের সঙ্গে উদ্দীপকের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাদৃশ্য নির্ণয় কর।
ঘ. ‘আমরা যত বেশি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করব, দেশের তত বেশি উপকার হবে’- মন্তব্যটির যৌক্তিক বিশ্লেষণ কর।
শেষ কথা
উপরে বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই প্রশ্ন গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়লে পরীক্ষায় কমন আসবে। আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন।
নোটঃ আজকের পোস্টে শেয়ার করা বইপড়া প্রবন্ধের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আমার নিজের বানানো নয়। সব কিছু ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের জানাতে পারেন। ধন্যবাদ সবাইকে।