নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? | What is renewable energy?

নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? আজকে আর্টিকেল টিতে আমরা জানবো নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? যে সকল শিক্ষার্থী বন্ধুরা গুগুলে নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? লিখে খুঁজাখুজি করছেন তাদের সাহায্য করার জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। তাই ধেয্য সহকারে আজকের আর্টিকেল পড়েতে থাকেন এবং জেনে নিন নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? বিস্তারিত।

নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে

নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে?

যে শক্তির উৎস যা বারবার ব্যবহার করার পরও শক্তির উৎসটি নিঃশেষ হয়ে যায় না, অর্থাৎ একবার ব্যবহার করার পর স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুনরায় ব্যবহার করা যায় তাকে নবায়নযোগ্য শক্তি বা রিনিউয়েবল এনার্জি বলে।

নবায়নযোগ্য শক্তির সুবিধা সমূহ 

নবায়নযোগ্য শক্তির অনেক রকম সুবিধা পাওয়া যায়। বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শক্তির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই শক্তি এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে বায়োগ্যাস পরিচ্ছন্ন জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

 এটি উন্নতমানের জৈব সার পেতে সাহায্য করে। দূষণমুক্ত পরিবেশের সহায়ক হয়। স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে।

 বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি যেমন: পকেট ক্যালকুলেটর, পকেট রেডিও, ইলেকট্রনিক ঘড়ি ইত্যাদি সৌরশক্তির সাহায্যে চালানো যায়। মূলত নবায়নযোগ্য শক্তির প্রধান সুবিধা হলো এটি নবায়নযোগ্য, এটি কখনো শেষ হয়ে যাবে না। নিচে এর সুবিধাসমূহ উল্লেখ করা হলো।

  • বায়ুপ্রবাহ ও সৌরশক্তি একটি অফুরন্ত শক্তির উৎস। কারণ বায়ু ও সুর্য সর্বদাই বিদ্যমান। 
  • পানির স্রোতকে ব্যবহার করে বেশি পরিমাণে শক্তির উৎপাদন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে স্রোতকে বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি ব্রিজ বা ব্যারেজ সড়ক যোগাযোগকে উন্নত করে। চাঁদ যেহেতু পানির জোয়ার-ভাটাকে প্রভাবিত করে এবং এটি সর্বদাই বিদ্যমান তাই পানির জোয়ার-ভাটা থেকে প্রাপ্ত শক্তি সর্বদাই ব্যবহার সম্ভব।
  • নবায়নযোগ্য শক্তি সাধারণত পরিবেশবান্ধব, কারণ এরা বায়ুতে কার্বন ডাইঅক্সাইড বাড়ায় না।

নবায়নযোগ্য শক্তির প্রয়োজনীয়তা যেমন আমাদের দেশে অনস্বীকার্য, তেমনি এর প্রাপ্যতা অনেকটা সহজ। আমাদের দেশের অনেক অঞ্চল আছে যেখানে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছেনি।

 সেখানে আমরা সহজেই সৌরশক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ পেতে পারি। তাছাড়া বায়োগ্যাস উৎপাদনে রয়েছে আমাদের বিপুল সম্ভাবনা। 

আমাদের দেশে প্রাকৃতিক গ্যাস সীমিত থাকায় আমাদের এই বিকল্প শক্তির সন্ধান অবশ্যই করতে হবে। প্রাকৃতিক গ্যাসকে আমাদের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরবরাহ করাতে প্রচুর খরচ হয়। 

তবে আমরা যদি বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট গড়ে তুলতে পারি সেক্ষেত্রে আমরা দ্বৈত সুবিধা পাব। প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি আমরা জমির চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সারের চাহিদাও মেটাতে সক্ষম হব।

 এছাড়া কৃষিনির্ভর এই দেশে নিঃসন্দেহে বায়োগ্যাসের উপাদান খুবই সহজলভ্য। সুতরাং আমাদেরকে ভবিষ্যৎ চিন্তায় এখনই এই শক্তির যথাযথ ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হলো নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? নিয়ে। আমি আশা করি অবশ্য পোস্টটি পড়ে আপনি নবায়নযোগ্য শক্তি কাকে বলে? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url